
ওঙ্কার ডেস্ক : বিরোধীদের কটাক্ষকে দূরে ঠেলে মোটের উপর জনদরদী বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বাজেট পেশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, কীভাবে মানুষের পকেট ভরবে সেদিকে নজর রেখে এই বাজেট। যদিও বিরোধীরা মনে করছেন এই বাজেট নিতান্তই ভোট কেন্দ্রিক। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, এতে বাংলার জন্য কিছুই নেই, বিহারের ভোটকে লক্ষ্য রেখে এই বাজেট।
বাজেট ঘিরে যতই চাপান উতোর চলুক না কেন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আপাতত কিছুটা স্বত্বি পেলেন মধ্যবিত্তরা। তার অন্যতম কারণ ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করশূন্য করার প্রস্তাব। এতে বাজারে নগদ টাকার জোগান বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন একটা রেকর্ডও করে ফেলনেন নির্মলা, এই নিয়ে টানা ৮বার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন তিনি। সেই সঙ্গে সাহস করে জাতীয় অর্থনীতিতে কিছুটা সংস্কারও আনলেন। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী-কিশোরী, যুব, চিকিৎসা, মৎস্য, সমুদ্র, বন্দর, খনি, টেলিকম, তথ্যপ্রযুক্তি, গবেষণা, এমন কি বয়স্ক ব্যক্তিদের খুশি করার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
নজর দেওয়া হয়েছে উৎপাদন বৃদ্ধি, সর্বাত্মক উন্নয়ন, বেসরকারি বিনিয়োগের উপর। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, দরিদ্র, অন্নদাতা এবং নারী সহ ১০টি ক্ষেত্রকে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দারিদ্র্যশূন্য ভারত, গুণমানে ১০০ শতাংশ উন্নত বিদ্যালয় শিক্ষা, উন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ১০০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিক সৃষ্টি যার দ্বারা বাজেটেবেকারি দূরীকরণের আশা প্রকাশ করা হয়েছে। আর্থিক ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ মহিলাদের ব্যবহার। বিশ্বের খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে দেশের কৃষকদের স্বনির্ভরতা দেওয়া।
এই বাজেট থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিশেষ করে ৬টি ক্ষেত্রে নজর দিতে চাইছে কেন্দ্র। তা হল- কর সংস্কার, বিদ্যুৎ, নগরোন্নয়ন, খনি, ব্যাঙ্কিং এবং রেগুলেটরি সংস্কার। নির্মলা ঘোষণা করেছেন, এই বাজেট এমএসএমই-র জন্য ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করবে। গুরুত্ব দেওয়া হবে স্টার্টআপের ক্ষেত্রেও।
সীতারামন আরও বলেন, ভারত হল মৎস্য উৎপাদনে দ্বিতীয়। তাই সমুদ্র ও নদী ছাড়াও যে কোনও মৎস্য উৎপাদনকারীদের প্রতি সরকার বিশেষ নজর দেবে। এবার বাজেটে এআই ক্ষেত্রকে শিক্ষাক্ষেত্রে আনার জন্য ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব আনা হয়েছে। এছাড়াও ১০ হাজার অতিরিক্ত আসন আগামী বছরের জন্য দেশের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে আনা হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরে যা মোট ৭৫ হাজারে দাঁড়াবে বলে জানান সীতারামন। অর্থমন্ত্রী বলেন, সমস্ত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং গ্রামীণ এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধকে বহিঃশুল্কের আওতার বাইরে আনা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক্সের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি হচ্ছে এবং টেলিকম সামগ্রীতে কমছে বেসিক কাস্টমস ডিউটি।