
গোপাল শীল, পাথরপ্রতিমা : দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথর প্রতিমা ব্লকের ভাগবতপুর কুমির প্রকল্প পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্যটন কেন্দ্র বলেই খ্যাত। যা মিষ্টি জলে কৃত্রিম উপায়ে কুমিরের ডিম থেকে বাচ্চা জন্ম দেবার জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে সেই পর্যটন কেন্দ্রের বেহাল দশা! যার ফলে পর্যটকরা মুখ ঘেরাচ্ছে। সম্প্রতি পাথরপ্রতিমাতে সরকারি কাজে এসে পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক।
উল্লেখ্য ১৯৭৪ সালে এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। গত কয়েক বছর আগে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভাগবতপুর পর্যটন কেন্দ্র। ভেঙে যায় পর্যটন কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি ঘর, মূলত প্রবেশ পথে প্রথমেই যে ঘরটিতে রাখা হয়েছিল কুমিরের ডিম সেই ঘরটির এডবেস্টারের চাল ভেঙে যায়, এছাড়া বহু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেখতে দেখতে প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত সংস্কারের কোনো চিন্তা ভাবনা করেনি সরকার।
বিগত দিনে যে সমস্ত কুমির ছিল বা বাচ্চা ছিল কমতে কমতে তাও প্রায় নেই বললেই চলে। তবে বেশ কয়েকটি পূর্ণবয়স্ক কুমির মাঝেমধ্যে দেখা যাচ্ছে, যা দেখে ৩০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসে পর্যটকদের মন ভরছে না। আস্তে আস্তে পর্যটকরা ভাগতপুরের দিক থেকে মন ঘুরিয়ে নিচ্ছে অন্যদিকে।
হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক সৌমেন পাল পাথরপ্রতিমা এলাকার বাংলা বাড়ি প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে পরিদর্শনে সেখান থেকেই তিনি পর্যটন কেন্দ্রে চলে আসেন পাথরপ্রতিমার বিডিও শেখ ইসরাইলের সঙ্গে, পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পর্যটনের সংস্কারে প্রয়োজন রয়েছে বলেও স্বীকার করে নেন। তিনি জানান খুব তাড়াতাড়ি সরকার এই পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নের কাজ শুরু করবে।