
ওঙ্কার ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয়ের। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, অগ্ন্যাশয়ের ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণেই সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের মৃত্যু হয়। তবে খবর ছড়িয়েছিল যে, অত্যাধিক নেশা করতেন প্রীতম। সে কারণেই এই বয়সে মৃত্যু হল তাঁর। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যুবসমাজের মধ্যে নেশার প্রভাব কতটা তার উদাহরণ হিসেবে থেকে যাবে এই ঘটনা।
মঙ্গলবার সকালে সাঁপুরজির বহুতলের ঘরে রহস্যমৃত্যু হয় সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম দাশগুপ্তর। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন সৃঞ্জয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে তাঁর বাড়িতেই পার্টি করেছিলেন প্রীতম। তবে সকাল হলেও ঘুম ভাঙেনি প্রীতমের। তখনই সন্দেহ হয় প্রীতমের সঙ্গে থাকা দুই কলিগের। তারপরই তাঁরা খবর দেয় তাঁর মা রিঙ্কুকে।
বুধবার সংবাদমাধ্যমে দিলীপ জানান, যে মুহূর্তে খবর এসেছিল তখন বাড়িতেই ছিলেন, তাঁর স্ত্রীর হঠাৎ চিৎকার করতে শুরু করেন। তারপরেই দ্রুত চলে যান ছেলের কাছে। নিজের এক পরিচিতকেও রিঙ্কুর সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান বিজেপি নেতা। এছাড়াও নেশাঘটিত বিষয়ে সমস্যা আগে থেকেই ছিল, প্রীতমের কাউন্সিলিংও চলছিল, চেষ্টা হচ্ছিল ঠিক করার তাও জানান দিলই ঘোষ। কী কারণে হঠাৎ এই মৃত্যু সেবিষয়ে কিছু জানেন বলেন বিজেপি নেতা। তবে বর্ষীয়ান আরও বলেন, কলিগদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আর ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। দিলীপ বলেন, ”একজন তরতাজা যুবক, সবদিক দিয়ে ফিট, সব ভাল ছিল। অথচ কোথা থেকে কী হয়ে গেল। আজ আমরা যে দেখছি যুবসমাজের মধ্যে নেশার যে প্রভাব এটা তারই একটি নমুনা। কী কারণে এত নেশা, কী নিয়েছিল, তা বলতেই পারল না। আগেই সব শেষ…”
গত ১৮ এপ্রিল দিলীপ-রিঙ্কু সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। তার আগে দিলীপের সঙ্গে ইডেনে খেলাও দেখতে গিয়েছিলেন সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম। সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, ছেলেটা সর্বগুণ সম্পন্ন ছিল। এত ভাল ছেলেটা এভাবে চলে যাবে, কল্পনাও করতে পারছি না। দুর্ভাগ্য আমার, পুত্র সুখ হল না, পুত্র শোক হয়ে গেল।