
ওঙ্কার ডেস্ক : বেসরকারি হয়েও সরকারকে সহযোগিতায় আশ্বাস রাজ্যের প্রাইভেট নার্সিং হোম মালিকদের। সেই সঙ্গে নিজেদের সামর্থ্য মতো পরিকাঠামো উন্নতি করে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলোর পরিষেবার উন্নতি করার পরিকল্পনা তাদের।
শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে রাজ্যের প্রাইভেট নার্সিং হোমস ও হসপিটালস ওনার্স’ অ্যাসোসিয়েশন উদ্যোগে “স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমরা” – শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ও সহমতের ভিত্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ও পরিষেবার উন্নত করতে এক গুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারা। সেই সঙ্গে আগামী ৯-১০ মে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলা সংস্থার রাজ্য সম্মেলনে এই নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
শনিবার দুপুর কলকাতা প্রেস ক্লাবে রাজ্যের প্রাইভেট নার্সিং হোমস ও হসপিটালস ওনার্স’ অ্যাসোসিয়েশন উদ্যোগে “স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমরা” – শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ও সহমতের ভিত্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ও পরিষেবার উন্নত করতে এক গুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করে তারা। সেই সঙ্গে আগামী ৯-১০ মে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলা সংস্থার রাজ্য সম্মেলনে এই নিয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এই উপলক্ষ্যে আগামীকাল, ৭ এপ্রিল থেকে প্রতিটি জেলায় প্রাইভেট নার্সিং হোমস ও হসপিটালস ওনার্স’ অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটির বৈঠক একযোগে করা হবে। এর ফলে নিজেদের মধ্যে আরো সমন্বয় স্থাপন করা যেমন সম্ভব হবে সেভাবেই পরিকাঠামোগত উন্নতিতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে বলেই জানিয়েছেন সদস্যরা।
প্রাইভেট নার্সিং হোমস ও হসপিটালস ওনার্স’ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তথা শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি মলয় পীট বলেন, “আমরা সকলে একযোগে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত করতে চাইছি। আমাদের প্রচুর ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকেল স্টাফ আছে। পরিকাঠামো আছে, আর একটু সেটা উন্নত করতে হবে। তাহলে অনেকটা এগোনো যাবে। তবে তার আগে নিজেদের সঠিক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি বলেন, “সরকারের সহযোগিতায়, ২০২৬ এর মধ্যে, আমরা আমাদের পরিকাঠামোর উন্নতি করে এমন জায়গায় আনতে চাইছি যাতে কোন ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য তাকে তার জেলার বাইরে বা রাজ্যের যেতে না হয়।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের মনে, নার্সিং হোম মানেই যে চোর সেই অপবাদ আমরা ঘুচিয়ে দিতে চাই।”
তিনি বলেন যে, সরকারি উদ্যোগে যে সব জনহিতকর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিক রূপায়ণ এবং স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কোথাও কোনও দুর্নীতি যাতে না হয়, তাও দেখবে এই সংগঠন।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি প্রণব কুমার চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অধ্যাপক ডাঃ সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট স্বাস্থ্য শিল্প উদ্যোগী সঞ্জয় মুখার্জী, সাংবাদিক ও উদ্যোগপতি মিলন চক্রবর্তী, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল বিসনেস এর সাধারণ সম্পাদিকা টিংকু গুপ্তা, প্রাইভেট নার্সিং হোমস ও হসপিটালস ওনার্স’ অ্যাসোসিয়েশন এর রাজ্য নেতৃত্ব তাহের শেখ, সৈয়দ আশরাফ হোসেন, ডাঃ জুলফিকার মন্ডল, ডাঃ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস কুমার ঘোষ, মোঃ জাহির ইসলাম সহ আরো অনেকে।