
ওঙ্কার ওয়েব ডেস্ক: সোমবার বেলা পৌনে তিনটেয় আরজি করে আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত। এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। এছাড়া রাজ্য সরকারকে বিচারক অনির্বাণ দাস নির্দেশ দিয়েছেন, তিলোত্তমার পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৭ লক্ষ টাকা তুলে দিতে।
এদিন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করে অভিমত দেন, ৩৪ বছরের তিলোত্তমাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা বিরলতম কোনও অপরাধ নয়। এজন্যে সঞ্জয়কে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হল না। এদিন বিচারক রাজ্য সরকারকে তিলোত্তমার বাবা-মাকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলে আদালতে উপস্থিত তিলোত্তমার বাবা-মা বিচারকের উদ্দেশে হাতজোড় করে জানান, তাঁরা ক্ষতিপূরণ চান না।
প্রত্যুত্তরে বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইনানুগভাবে। ক্ষতিপূরণের টাকা ওঁরা ইচ্ছামতো ব্যয় করতে পারেন। এদিন এজলাসে উপস্থিত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি কোনও অপরাধ করিনি।‘
এদিন সকাল থেকে আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের সাজা কী হয়, তা জানতে উদগ্রীব ছিলেন অসংখ্য মানুষ। আদালতে হাজির ছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মাও। ওঁরা সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন, আরজি কর-কাণ্ডে সঞ্জয় একা নন, জড়িত আরও কয়েকজন। তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই প্রশ্ন তুলেছেন ওঁরা।