
নিজস্ব সংবাদদাতা , উত্তর চব্বিশ পরগনা : তৃণমূলের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ , নিরব প্রতিবাদে, খালি থালা হাতে রাস্তায় হকাররা । দোকান ঘর বসানো ও হকার উচ্ছেদ নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ।
বিগত প্রায় ৪৫ বছর ধরে বসিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বি.বি. বোস রোডের কদমতলায় সরকারি ড্রেনের উপর অস্থায়ী দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কিছু হকাররা। কারো রয়েছে চায়ের দোকান, কেউ আবার সাইকেল রিপেয়ার করেন আবার কেউ সকাল-বিকালে জলখাবার বিক্রি করে সংসার গুজরান করেন। প্রায় চার যুগ ধরে একপ্রকার বংশ পরম্পরায় দোকান চালিয়ে আসছেন তারা। তাদের পুরো সংসারই চলে এই দোকান থেকে হওয়া উপার্জনে। অভিযোগ, হঠাৎ পিডব্লুডি’র পক্ষ থেকে ওই দোকানগুলিতে নোটিশ দেওয়া হয় এবং ওই এলাকা খালি করতে বলা হয়। তারপরেই এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন বসিরহাটের কদমতলা এলাকার ব্যবসায়ীরা।
মহিলা ও পুরুষ সহ প্রচুর হকাররা নিরব ভাবে রীতিমতো হাতে খালি থালা নিয়ে রাস্তায় নেমে নীরব বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন। স্থানীয় এক ব্যতবসায়ী সুপ্রিয়া সর্দার অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল চালিত বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী তাদেরকে সেখানে ঘর করে ব্যবসা চালিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর আমাদের কাছে টাকা দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিকা সোম গোলদারের কাউন্সিলর প্রতিনিধি আইনজীবী অরিন্দম গোলদার বলেন, “২০২৪ এর ২৮শে ডিসেম্বর বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারপার্সন অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী ওই ৭টি অবৈধ দোকানের উচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। সেইমতো ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মনিকা সোম গোলদার পৌরসভার আইন মেনে তাদেরকে উচ্ছেদের কথা বলেন।
অন্যদিকে অপর এক হকার তথা সেখানকার এক ব্যবসায়ী তুফান মন্ডল বলেন, “ওখানে আমার জায়গা ছিল। আমি অস্থায়ী ভাবে দোকান চালাতাম। আমাকে ঘর দেওয়া হবে বলে ১ লক্ষ ২৫ চাওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দিতে না পারায় আমি ঘর পাইনি।”
এখন প্রশ্ন উঠছে যারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তারা নিজেদেরকে তৃণমূলের কর্মী তথা সমর্থক বলে দাবি করে। অপরদিকে রয়েছে তৃণমূলেরই কাউন্সিলর। তাহলে হকার উচ্ছেদকে ঘিরে শহর বসিরহাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি প্রকাশ্যে এলো ? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।