
নিজস্ব সংবাদদাতা , দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা : নিউটাউনের পর এবার ভাঙ্গড়ে সরকারি জায়গা দখল ও পুকুর ভরাট করে গড়ে উঠছে বেআইনি নির্মাণ। পুকুর ভরাট করে বহুতল নির্মাণ রুখতে একাধিকবার কড়া বার্তা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও হুঁশ ফেরেনি নিউটাউন লাগোয়া ভাঙড় -২ ব্লকের, ব্যা ওতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের। একের পর এক পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠছে সেখানে। চলতি সপ্তাহে ব্যাছওতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুলবেড়িয়া এলাকায় পর পর দু’টি পুকুর ভরাটের অভিযোগ নিয়ে শোরগোল পড়েছে।
ভাঙ্গড়ে সরকারি জায়গা দখল ও পুকুর ভরাট করে গড়ে উঠছে বেআইনি নির্মাণ। প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের কড়া নজরদারী যদি থাকে তবে কীভাবে সম্ভব বেআইনি নির্মাণ উঠছে প্রশ্ন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যা ওতা -২ অঞ্চলের কুলবেড়িয়া মৌজায়, জে এল নাম্বার -৭ এ প্রায় দেড় থেকে দুই বিঘা পুকুর যা ব্রিটিশ আমল থেকে আছে, সেই পুকুর বেআইনি ভাবে ভরাট করে দিচ্ছেন স্থানীয় এক ব্যাবক্তি। তার এই অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করে একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে রমরমিয়ে চলছে সুবিশাল পুকুর ভরাটের কাজ।
কুলবেড়িয়ার পাশাপাশি ভোজেরহাট খাল পাড়ে সেচ দপ্তরের জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে দোকান-ঘর। যেখানে মুখ্য মন্ত্রী বারংবার সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ রুখতে পুলিশ প্রশাসন কে সক্রিয় হতে বলেছেন তার পরেও অবাধে চলছে এই অবৈধ নির্মাণ। অন্যদিকে ঘটোপুকুর ও চাঁদপুর এলাকায় পুকুর ভরাট করে গড়ে উঠছে বেআইনি নির্মাণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ থাকা শর্তেও একের পর এক পুকুর ভরাট করে গড়ে উঠছে বেআইনি নির্মাণ বিরোধীদের দাবি, শাসক দলের নেতা এবং পুলিশ প্রশাসনের যোগসাজশে এই সমস্ত অবৈধ কাজকর্ম চলছে।
অন্যদিকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙ্গড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন আমরা বরাবরই এই সমস্ত অবৈধ কাজের বিরোধী। যারা এই বেআইনি কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে বলবো সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিতে।