
জয়ন্ত সাহা, আসানসোল: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে নিজেরাই এলাকা পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিলেন আসানসোলের মহিশীলার সানভিউ পার্ক এলাকার বাসিন্দারা। এদিন পাড়ার বাসিন্দারা মিলে পরিবেশের সৌন্দর্য রক্ষা
এবং বৃক্ষরোপনের মত পরিবেশ বান্ধব কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন। । আসানসোল গ্রীন হেভেন সোসাইটি থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল সানভিউ পার্ক এলাকাটি। আজ এ অঞ্চলে জমে থাকা বসতি এলাকায় আবর্জনা সাফ করার কাজ করা হয়। কমিটির উদ্যোগে ১২ টি চারাগাছও রোপণ করে লোকজন। গ্রীন হেভেন সোসাইটির সভাপতি রাণা রায় ‘পরিবেশ বান্ধব পাড়া’ গড়ার ডাক দিয়েছেন। তাঁর মতে পরিবেশ সচেতনতা এক দিনের ব্যাপার নয়, এটি একটি দীর্ঘ চলমান প্রক্রিয়া । তাঁদের মূল মন্ত্র পরিবেশকে ভালোবাসা ও পরিবেশকে ভালো রাখা।
সুকান্ত ভট্টাচার্য, উত্তর ২৪ পরগনা: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এলাকার মানুষজনের মধ্যে সচেতন মূলক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহুকুমার সোনাপুকুর শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নজরনগর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। এদিন ছোট্ট পডুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গাছ, এবং অনুষ্ঠিত হয় বৃক্ষরোপনের কর্মসূচী। বিশ্ব ও পরিবেশ বিষয়ক বক্তৃতা ও মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। বক্তৃতায় গাছ কাটা ও তার খারাপ দিকের কথা বলা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে গাছ কাটা থেকে বিরত থাকার আর্জি জানানো হয়েছে।
শঙ্কু কর্মকার, উত্তর দিনাজপুর: এক অভিনব উপায়ে বৃক্ষরোপন করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। তাঁর তত্ত্বাবধানে বালুরঘাটের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দ বাগান পার্কে ছোট্ট ক্ষুদে বাচ্ছারা হাতে গাছ তুলে নিয়ে সেই গাছ রোপণের পর আদর করে নাম রাখালো, ‘আশা’, ‘রাজা’, ‘রাজু’। এই গাছগুলির বর্তমান অভিভাবক এই নিষ্পাপ শিশুরাই। কাউন্সিলার প্রদীপ্তা চক্রবর্তী জানালেন নিজের পরিবাদের সদস্যের মত করেই এই গাছ গুলিকে লালন পালন করার দায়িত্ব এখন ঐ শিশু ও তাদের পরিবারের। তিনি আরও বলেন শুধুমাত্র গাছ লাগিয়ে সে নিয়ে ছবি তুলে পোষ্ট করলেই হবে না, গাছ ও গাছের উপকারিতা সম্মন্ধে সচেতনা থাকাও জরুরী। পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ পরিবেশের গুরত্ব বুঝিয়ে সেই কাজে যুক্ত করতে হবে এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী।
সুরজিত দাস, নদিয়া: ৫ই জুন নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুর এলাকায় গাছ কেটে পালিত হল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। গোবিন্দপুর এলাকাবাসি ও এক সামাজিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এদিন রাস্তার পাশে অচিরেই বেড়ে ওঠা বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ উচ্ছেদ করা হল। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিশেষ ভাবেই পালিত হল দিনটি। সাধারনত প্রশাসন এবং সামাজিক সংগঠন বারবার গাছ না কেটে গাছ লাগানোর কথা বলে থাকেন, কারন গাছই সূস্থ ও দুষন মুক্ত ভবিষতের চাবিকাঠি। কিন্তু পার্থেনিয়ামের মত বিষাক্ত গাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এই গাছ যেমন মানুষের হাঁপানি শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু কিরে ত্বকের ক্যান্সার অবধি ঘটাতে পারে তেমনই কৃষিকাজে এর ক্ষতিকর প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। তাই এই গাছ উচ্ছেদ করে এক নয়া দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন নদিয়াবাসি। জেলার গোবিন্দপুর জাতীয় সড়ক এলাকার সব পার্থেনিয়াম গাছ কেটে ফেলে হল। সাথে সাথে নুন জল দিয়েও মেরে ফেলা হল বিষাক্ত গাছ। এলাকাবাসি জানিয়েছে তারা এই কাজ জারি রাখবে ভবিষতেও।