
ওঙ্কার ডেস্ক : মুর্শিদাবাদে অশান্ত পরিস্থিতিতে বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানের চরম নীরবতা ও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। তাঁর ইনস্টাগ্রামে সদ্য একটি পোস্টে দেখা যাচ্ছে, চা হাতে তিনি বসে আছেন এক নিরিবিলি জায়গায়। ছবির ক্যাপশনে লেখা— “ইজি আফটারনুন, গুড চায়ে অ্যান্ড কাম সারাউন্ডিংস। জাস্ট সোকিং ইন দ্য মোমেন্ট”— অর্থাৎ, “একটা সাদামাটা অপরাহ্ন, দুর্দান্ত চা আর শান্ত পরিবেশ। মুহূর্তটা উপভোগ করছি।”
এদিকে মুর্শিদাবাদের সদর বহরমপুর তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র। যে জেলার বহু এলাকায় এখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন, এক জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শনিবার রাতেও ওই অঞ্চলে গুলিচালনার ঘটনা অব্যাহত। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউসুফের এমন পোস্ট বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে জনমানসে। শুরু হয়েছে বিস্তর সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, যখন মুর্শিদাবাদ অশান্ত, তখন এলাকার সাংসদ কীভাবে এমন নির্লিপ্ত থাকতে পারেন। এক ফলোয়ার মন্তব্য করেছেন, “আপনার কি একটুও লজ্জা হল না?”
শনিবার ও রবিবার সকাল পর্যন্ত সাংসদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিজেপি ছাড়াও বামপন্থী দলগুলির পক্ষ থেকেও ইউসুফ পাঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলাজুড়ে ঝুলতে দেখা গেছে ‘নিখোঁজ সাংসদ’-এর পোস্টারও।
তবে এই পরিস্থিতিতে একটি অংশ দাবি করছে, ধুলিয়ান, সুতি ও সামশেরগঞ্জ—এই তিনটি এলাকাই সাংসদ ইউসুফ পাঠানের লোকসভা কেন্দ্র বহরমপুরের অন্তর্গত নয়। যদিও বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, এই এলাকাগুলি বহরমপুর থেকে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। ফলে সাংসদের দায়িত্ব ও সহানুভূতির প্রশ্ন এড়ানো যায় না।