
ওঙ্কার ডেস্ক: পাক গুপ্তচর লাস্যময়ী ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে বাংলা যোগ। চলতি বছরেই কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। আবার জনপ্রিয় দোকান থেকে বিরিয়ানিও খান। ঘোরাফেরার ফাঁকে ফাঁকে ভ্লগও করেন তিনি। শুধু ঘোরাফেরা নাকি তথ্য পাচারের উদ্দেশে বাংলায় এসেছিলেন জ্যোতি, স্বাভাবিকভাবে রহস্য তৈরি হয়েছে।
জ্যোতির ভ্লগ থেকে পাওয়া গেছে একাধিক তথ্য, তিনি বাংলায় এসে ঘুরেছেন বহু জায়গায়, সেসব ভিডিও দেখা গেছে তাঁর ভ্লগে। চলতি বছর শেওড়াফুলিতে এক বিয়েবাড়িতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। সেই মতোই রাজধানী এক্সপ্রেসে চড়ে দিল্লি থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছন। স্টেশনের সামনে দাঁড়িয়ে হলুদ ট্যাক্সি দেখান এবং হলুদ ট্যাক্সি চড়ে কলকাতার পথে ঘোরার ইচ্ছাপ্রকাশও করেন। শুধু তাই নয়, বারাকপুরের জনপ্রিয় দোকান থেকে কিনে বিরিয়ানিও খান, লোকাল ট্রেনেও চড়েন সেকথা নিজেই ভ্লগেই জানান জ্যোতি। তাঁর ভ্লগে হাওড়া ও দমদম স্টেশন, হাওড়া ব্রিজ, বালি ব্রিজ, দামোদর ব্রিজেসহ নানা ছবি দেখা গিয়েছে। বরানগর মেট্রো ধরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও গিয়েছিলেন জ্যোতি। নদিয়ার গেদে সীমান্তর ছবিও দেখা গিয়েছে ভ্লগে। জানা গিয়েছে, একবার নয়। কমপক্ষে চারবার কলকাতায় আসেন জ্যোতি। আর তারপরই পাড়ি দেয় পাকিস্তানে।
দিন যত এগোচ্ছে ততই লাস্যময়ী ইউটিউবারের সম্পর্কে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসছে। ইউটিউবার জ্যোতির বাংলা যোগ নিয়ে একাধিক রহস্যের জট দানা বাঁধছে। শুধু বাংলায় ঘুরতেই এসেছিলেন জ্যোতি নাকি পেছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? মহানগরের বুকে কি নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছিলেন? জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সংক্রান্ত তথ্য জোগাড়ের চেষ্টায় তদন্তকারীরা। এদিকে, শেওড়াফুলিতে কার আমন্ত্রণে জ্যোতি বাংলায় এসেছিলেন, সে বিষয়ও তদন্তসাপেক্ষ। পুরো বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।