
নিজস্ব সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের আলিপুর গ্রামে শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যের উপর ধারালো অস্ত্রের হামলায় চাঞ্চল্য ছড়াল। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, ব্যক্তিগত স্বার্থে চাপ সৃষ্টি করে কাজ না করানোয় হামলা চালানো হয়েছে।
আহত পঞ্চায়েত সদস্য সাইফুদ্দিন খাঁ রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০২ নম্বর বুথের শাসক দলের প্রতিনিধি। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলিপুর গ্রামে রাস্তার পাশে বসে থাকার সময় আচমকাই শাসক দলের সংখ্যালঘু শেলের আঞ্চলিক নেতা মনোয়ার হোসেনের বাবা আয়ুব ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালায়।
আহতের পরিবারের অভিযোগ, মনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে একটি ব্যক্তিগত রাস্তা কংক্রিটে ঢালাই করার জন্য সাইফুদ্দিনের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। সেই কাজ অনুমোদন না করাতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার পর সাইফুদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন। ঢোলাহাট থানায় মনোয়ার হোসেন ও তাঁর বাবাসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদনমোহন হালদার। আহতের সঙ্গে দেখা করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেন তিনি।
ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও। তাঁর কথায়, “উভয়েই শাসক দলের হলেও ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিবাদ। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।”
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।