
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা : বাংলায় ‘১০০ দিনের কাজ বন্ধ’ মামলায় কেন্দ্রর কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে “মহাত্মা গান্ধী রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম”-এর একশো দিনের কাজ বন্ধ। এ ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এই মামলায় তদন্তের জন্য হাইকোর্ট চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ড, মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড, অসত্য তথ্য দিয়ে জব কার্ড তৈরি করে কেন্দ্রের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, এই অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় কেন্দ্রের গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তিন সপ্তাহ অর্থাৎ ১৫ মে-র মধ্যে এই রিপোর্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জমা দিতে হবে।
ওই কমিটির তরফে নোভাল অফিসার গত ২০ মার্চ আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মালদহ এবং দার্জিলিং জিটিএ এরিয়াতে ১০০ দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এই চার জেলা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা বাবদ মোট ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।
এরপরই আদালত জানিয়ে দেয়, উদ্ধার হওয়া ওই টাকা দ্রুত ১০০ দিনের প্রকৃত প্রাপকদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এদিন কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটার অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানান, ১০০ দিনের প্রকল্পে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল। তারমধ্যে পুনরুদ্ধার করা গেছে ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার মতো। রাজ্যই উদ্ধার করেছে। ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন জেলায় ভুয়ো অ্যাকাউন্টে।
একই সঙ্গে আদালত এও জানায়, যে চার জেলায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেই জেলাগুলি বাদে রাজ্যের বাকি জেলাগুলোতে দ্রুত ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২১ এর বিধানসভা ভোটের পর থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে রাজ্যের কাজ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। মামলায় রাজ্যকে পার্টি হিসেবে যুক্ত করার জন্য এদিন আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।