
ওঙ্কার ডেস্ক : মহেশতলার অশান্তির পর ফের রাজ্য পুলিশে রদবদল। মহেশতলার অশান্তির পর ফের রাজ্য পুলিশে রদবদল। মহেশতলার এসডিপিও এবং রবীন্দ্রনগর থানার ইনস্পেক্টর ইন চার্জ (আইসি)–সহ বদলি করা হল একাধিক পুলিশ আধিকারিককে। মালদহের রতুয়া থানার আইসি ও সার্কেল ইন্সপেক্টরকেও অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
রবীন্দ্রনগর থানার বর্তমান আইসি মুকুল মিঁয়াকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে দার্জিলিঙে। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে মালদহের রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজনকুমার রায়কে। অন্যদিকে, মহেশতলার এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লাকেও সরিয়ে পাঠানো হয়েছে স্টেট আর্মড পুলিশ (SAP)-এর তৃতীয় ব্যাটেলিয়নের সহকারী কমান্ডান্ট হিসেবে। নতুন এসডিপিও হিসেবে দায়িত্ব পেলেন সৈয়দ রেজাউল কবীর, যিনি এর আগে রাজারহাট থানার আইসি পদে ছিলেন।
তবে এই বদলিকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, কিছুদিন আগেই মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকায় দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোলমালের সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। উন্মত্ত জনতার রোষের মুখে পড়ে পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় পাথর। একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লাগে। রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত ছিল গোটা এলাকা। এখনও চলছে পুলিশি টহল।
ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। অভিযোগ ওঠে, পুলিশের তরফে যথাযথভূমিকা নেওয়া হয়নি। সেই প্রেক্ষিতে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুন কুমার দে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেন, কারও গাফিলতির প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই অবস্থার মধ্যেই রবীন্দ্রনগর থানার আইসি-সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক বদলি হওয়ায় অনেকেই ঘটনাদুটিকে একসঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একেবারেই রুটিন বদলি, এর সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।