
ওঙ্কার ডেস্ক: স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আড়ালে চলত নারীপাচার চক্র। বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ থেকে গরিব মেয়েদের কিনে নিয়ে আসতেন সংস্থার কর্মীরা। তারপর তাঁদের বিয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকায় বিক্রি করে দিতেন হবু পাত্রদের কাছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গরিব পরিবার থেকে মেয়েদের ‘কিনে’ চড়া দামে বিক্রি করা হত হবু পাত্রদের কাছে। রাজস্থানের এই ‘স্বেচ্ছাসেবী’ সংস্থা গরিব মেয়েদের কিনে নিয়ে আসতেন। রাজস্থানের এই ‘স্বেচ্ছাসেবী’ সংস্থার মেয়ে বেচাকেনার কাহিনি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। কোনও রকমে ওই সংস্থার খপ্পর থেকে পালিয়ে পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানায় ১৬ বছরের এক কিশোরী। তার পরেই পুলিশ রাজস্থানের ওই ‘স্বেচ্ছাসেবী’ সংস্থার ডেরায় হানা দেয় এবং গ্রেফতার করে সংস্থার প্রধান গায়ত্রী বিশ্বকর্মাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের জয়পুর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বসসি এলাকার সুজনপুরা গ্রামে ওই সংস্থার ডেরা। সংস্থাটির নাম ‘গায়ত্রী সর্বসমাজ ফাউন্ডেশন’। গ্রামবাসীরা জানতেন ওই সংস্থা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরিব মেয়েদের উদ্ধার করে ভাল পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে থাকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ অবশ্য জানতে পেরেছে, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য থেকে গরিব মেয়েদের গায়ের রং, উচ্চতা দেখে স্থির হত পাত্রীর দাম। এক এক জন মেয়েকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দামে বিক্রি করা হত। নাবালিকাদের ‘বিবাহযোগ্য’ হিসাবে দেখানোর জন্য তৈরি করা হত নকল আধার কার্ডও।
গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের এক নাবালিকা ওই সংস্থার ডেরা থেকে পালিয়ে কোনোরকমে থানায় পৌঁছোয়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থার অফিসে গিয়ে মালিক গায়ত্রী এবং তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, সংস্থার অফিসটি গ্রামের শেষ প্রান্তে হওয়ায় এত কিছু তাঁদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। এই বেচাকেনার কাহিনি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসতেই গোটা এলাকায় ঢি ঢি পড়ে যায়।