
নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা উঠেছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় যে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ চায় না, সোমবার তা জানিয়ে দিল উচ্চ আদালত। এসএসসি নিয়োগ নিয়ে জলঘোলা হলেও নিয়োগে যাতে বাধা সৃষ্টি না হয় তার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবার আগে এ বিষয়ে ঢুকতে চায় না।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলটাকেই বাতিল করা হয়েছিল, যাতে চাকরি হারিয়েছিলেন ২৬ শিক্ষক-শিক্ষিকা। তারপর আবারও ২০২৫ সালে নিয়োগের নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করার দিনও ঠিক করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেইমত এসএসসি কমিশন ৩০ মে নিয়োগের নতুন নিয়মাবলী প্রকাশ করেছিল যা ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে আলাদা হবার কারণে অখুশি হয় চাকরিহারাদের একাংশ। তার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন তাঁরা।
নিয়োগের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে ৪০ হাজার নতুন পদে শিক্ষক নেবার কথা বলা হয়। এছাড়াও আগে লিখিত পরীক্ষার মান ছিল ৫৫, সেটা বাড়িয়ে করা হয় ৬০। শিক্ষাগত যোগ্যতার মান ৩৫ কমিয়ে ১০ করা হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইন্টারভিউ এর মান একই রাখা হয়েছে। এই নতুন বিধি অনুযায়ী, ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সিলের এক বছর অবধি। এই নয়া নিয়মে আপত্তি থাকায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষীকা।
মামলাকারীদের বক্তব্য, ২০১৬ সালের চাকরিহারাদের সংখ্যার থেকে বেশি পদের জন্য কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার মান কমানোর জন্যও বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন তাঁরা। উচ্চ আদালত তাদের পক্ষে কথা বলবেন এমনটাই আশা ছিল তাদের। কিন্তু এই মূহুর্তে এ বিষয়ে ঢুকতে চায়না আদালত।
চাকরিহারাদের এই মামলা ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট সিঙ্গেল বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বলেন, “আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হোক, তারপর কোনো সমস্যা হলে তখন হাইকোর্টে আসতে পারেন”। হাইকোর্ট এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করায় ১৬ জুন স্বাভাবিক ভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন।