
নিজস্ব প্রতিনিধি : মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান চাকরিহারা শিক্ষকরা। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হতাশ আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মঞ্চ এবার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছে। তাই চাকরিহারাদের একাংশ উত্তরবঙ্গে সফরত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছে। তাদের দাবি, ”বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের অভাব অভিযোগের কথা ওনাকে জানাতে চাই। আমরা যোগাযোগ করছি। জানি না শেষ পর্যন্ত দেখা করার সুযোগ পাবো কি না। আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরাও চেষ্টা করছেন”। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আলিপুরদুয়ারে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষায় বসতে হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে চাকরিহারাদের প্রতিক্রিয়া, “এটা তাঁদের মৃত্যু পরোয়ানা”। কোনও পরিস্থিতিতেই পরীক্ষায় বসা সম্ভব নয়, জানিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারারা। তাঁদের বক্তব্য, একবার প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণেই চাকরিহারা হতে হয়েছে, আবার যে একই ভাবে জালিয়াতির শিকার হবেন না তার নিশ্চয়য়তা কোথায় !”
এদিকে আলিপুরদুয়ারের এক চাকরিহারা শিক্ষিকা জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে চাই। স্থানীয় সাংসদ ও বিজেপির স্থানীয় জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। জেলাশাসককেও জানিয়েছি। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর মেলেনি”।
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি ফেরত পেতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা দিয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়ার পর কার্যত দিশেহারা তাঁরা। পরিস্থিতি যা, তাতে রিভিউ পিটিশনে যদি ইতিবাচক কোনও ফল না আসে তাহলে চাকরিহারা শিক্ষকদের ফের পরীক্ষায় বসতে হবে। তাই আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ৩০ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের এই নির্দেশ আসার পর সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক প্রশ্ন তোলেন চাকরিহারাদের একাংশ। চাকরিহারা শিক্ষকদের মতে, “এই পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ না নিতে পেরে কেউ যদি দুর্ঘটনা ঘটায় তাহলে তার দায় কে নেবে ? পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তার প্রতি সরকারের ভাবনা কি ?” এরকমই নানান প্রশ্ন এখন চাকরিহারাদের কাছে। তার উত্তর খুঁজতে এখন প্রধানমন্ত্রীই শেষ ভরসা বলে মনে করছেন তাঁরা।