
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের লাগাতার আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাওয়ার আগে আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষাদের উদ্দেশে তিনি বলেন “আন্দোলন হবে অহিংসার পথে, গণতন্ত্রের পথে”। তিনি আরও বলেন, “গান্ধীজি অহিংসার কথা বলেছিলেন, আমরাও আন্দোলন করেছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, প্রতিবাদ প্রদর্শন করা মানেই হিংসাত্মক আচরণ নয়”।
এদিকে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৫ শিক্ষককে ডেকে পাঠিয়েছে বিধাননগর নর্থ থানা। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আগেই একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। তার পরও বিকাশ ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁরা যে ‘রাজ্য সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারছে না’ এমনটাই প্রকাশ পাচ্ছে তাঁদের কথাবার্তায়।
তবু এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে চাকরিহারাদের আশ্বস্থ করার চেষ্টা করেছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, বিচারব্যবস্থার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। এ বিষয়ে রাজ্য যে রিভিউ পিটিশন দিয়েছে সে কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। তাঁর আশা, একটা সুরাহার পথ নিশ্চয়ই বেরোবে। তাই আন্দোলনকারীদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, “আন্দোলন চলুক, তবে তা যেন গণতন্ত্রের পথে হয়”।
শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন দিল্লিতে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তাঁদের দিল্লিতে ধর্ণার কথা। অভিষেক বলেন, “আমরা একশো দিনের কাজ নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলন করেছি। সাধারণ মানুষ তো ছেড়েই দিন, যাঁরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, এমনকি মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে মারা হয়েছে। আমরা তো হিংসার পথে যাইনি। বরং পরের দিন রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসেছি। সবটাই শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। আমি চাইব, শিক্ষকরাও যেন অহিংসার পথে থেকে আন্দোলন করেন। আন্দোলনের অধিকার সকলের রয়েছে”।
অভিষেকের কথার উত্তরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের মঞ্চ। তাঁদের প্রশ্ন, তিনি কি দেখেছেন, কেন আমরা রাস্তায় আছি, কেন আমাদের রাস্তায় এনে ফেলা হল, কেনই বা দিনের পর দিন আমাদের রাস্তায় পড়ে থাকতে হবে, দোষটা কার, চাকরিটা গেল কার জন্য, এই মুহূর্তে কী কী করা উচিত ? এইসঙ্গে তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন, চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা কেবল একটাই বাধা অতিক্রম করেছিলেন, সেটা হল বিকাশ ভবনের গেট। বাদবাকি তাঁদের অবস্থান শান্তিপূর্ণই ছিল।