
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারপুর : নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত ফরতাবাদ এলাকায় একটি হোমে নাবালক এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত যুবকের নাম সন্দীপ সিং (২১)। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে চেতলা থানায় পকসো আইনে একটি মামলা চলছিল। এছাড়া অতিরিক্ত মাদকদ্রব( গাঁজা )সেবনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে তাঁকে ‘আরোগ্য নিকেতন’ নামে একটি হোমে রাখা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, এই হোমটি গত তিন মাস ধরে ফরতাবাদ এলাকার একটি বাড়িতে চালু হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির বয়স প্রায় ৯ বছর, তবে নতুন ঠিকানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে সাম্প্রতিক কালে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৬ এপ্রিল সন্দীপ সিং হোমের বাথরুমে গলায় গামছা জড়িয়ে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। তাঁকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের দাবি, মৃতের বাবা জানিয়েছিলেন যে ৫ এপ্রিল তিনি ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে ওই দিন ও পরদিন পরিবারের সঙ্গে হোম কর্তৃপক্ষের কোনও যোগাযোগ হয়নি। এর পরেই ওই ভোররাতে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আত্মহত্যার পেছনে অন্য কোনও কারণ ছিল কি না।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল দাস জানান, তাঁর ওয়ার্ডে এই ধরনের হোম পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। তাঁর অভিযোগ, পৌরসভার বা স্থানীয় কাউন্সিলরদের কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই হোমটি পরিচালিত হচ্ছিল। তিনি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দায়িত্ব নিরূপণের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার পর হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, এই ঘটনার পর হোমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, তদারকি এবং পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।